ওযু করা সুন্নাত পদ্ধতি কি কি |
![]() |
ওযু করা সুন্নাত পদ্ধতি কি কি | |
ওযু করা সুন্নাত পদ্ধতি কি কি |
১। বিসমিল্লাহর সাথে শুরু করা।
২। ওযুর শুরুতে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করা।
৩। কুলি করা এবং নাকে পানি টেনে নেয়া।
৪। বাম হাত দিয়ে নাক থেকে পানি বের করা।
৫। মুখে এবং নাকে পানি পৌছানো (গড়গড়া করার মাধ্যমে মুখের সব অংশে পানি পৌছানো এবং নাকের উপরিভাগের অধিকাংশ অংশে পানি পৌছানো।
৬। হাতের একবারের পানি দিয়ে কুলি ও নাকে পানি প্রবেশ করানো।
৭। মিসওয়াক করা।
৮। ঘনো দাড়ির মধ্যে আঙ্গুল চালানো মুখ ধৌত করার সময়।
৯। মাথা মাসেহ করা।
১০। আঙ্গুল এবং পায়ের পাতায় পানি পৌছানো।
১১। ডান হাত এবং ডান পায়ের দিক থেকে শুরু করা।
১২। চেহারা, বাহু এবং পা ধৌত করা এক বার থেকে তিন বার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা।
১৩। ওযু শেষে কলেমার শাহাদাহ পাঠ করা
أَشْهَدُ أَنْ لا إِلَـهَ إِلاّ اللهُ وَحْدَهُ لا شَريـكَ لَـهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمّـداً عَبْـدُهُ وَرَسـولُـه
অর্থঃ ‘আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত যোগ্য কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা এবং রাসূল।
এটা পাঠ করার ফাযীলাত হচ্ছে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা হবে এবং সে যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে।
১৪। বাড়িতে ওযু করা ।
১৫। ওযু করার সময় হাত দিয়ে দেহের পানি পৌঁছানোর অঙ্গগুলো ঘষা বা মর্দন করা।
১৬। হিসাব করে পানি ব্যবহার করা।
১৭। ওযু শেষে দুই রাকা‘আত সালাত আদায় করাঃ
‘যে ব্যক্তি আমি যেভাবে অজু করি এর মত করে অজু করে, অতঃপর দুই রাকা‘আত সালাত আদায় করে এবং এ সময় কোন কিছু চিন্তা না করে (সলাতের সাথে জড়িত বিষয় ব্যতীত), তার অতীতের গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
অন্য হাদীসে রয়েছে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
যে ব্যক্তি উপরোক্ত নিয়মে উত্তমভাবে ওযু সম্পাদন করবে সে তাদের অন্তর্ভূক্ত হবে যাদের ব্যাপারে বলা হয়েছে
‘যে ব্যক্তি উত্তমভাবে ওযু সম্পাদন করে, গুনাহ্ তার শরীর থেকে ঝরে পরে এমনকি তার আঙ্গুলের নখের নীচ থেকেও।’
সে ঐ ব্যক্তির মধ্যেও অন্তর্ভূক্ত হবে যে ওযুর পরে দুই রাকাহ সলাত আদায় করে, যার ব্যাপারে বলা হয়েছেঃ
‘তোমাদের মধ্যে যে কেউ উত্তমভাবে ওযু করে এবং দুই রাকাআত সলাত আদায় করে তার চেহারা এবং হৃদয় দিয়ে (খুশু সহকারে) তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে এবং গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।
Post a Comment